পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আন্তির্জাতিক নারীদিবসের উৎস ও প্রয়োজনীয়তা

আন্তর্জাতিক নারীদিবস নিয়ে কিছু কথা আন্তর্জাতিক নারীদিবসের উৎস খুঁজতে আমাদের বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে যেতে হবে। ভাবলে আশ্চর্য লাগে যে সেই সময়েও কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য সঠিক পরিবেশ ছিল না, তাঁদের ভোটাধিকার ছিল না এবং প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতেও লিঙ্গবৈষম্য ছিল। এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন বিশ্বজুড়ে মহিলারা। অবশেষে এগিয়ে এলেন ক্লারা জেটকিন নাম্নী এক মহিলা। ১৯১০ সালে আন্তর্জাতিক কর্মরত মহিলাদের সম্মেলন চলাকালীন তিনি বক্তব্য রাখলেন যে মহিলাদের ভোটাধিকার ও সমানাধিকারের দাবিতে একটি বাৎসরিক দিন পালিত হোক। এই দিনটির নাম হোক মহিলা দিবস। ক্লারার বক্তব্য শোনবার জন্য দীর্ঘদিন ধরে হাজার হাজার নারী অপেক্ষা করে ছিল। বিপুল সমর্থন সহ তাঁর প্রস্তাব গৃহীত হল এবং বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উদ্‌যাপন করা শুরু হল ১৯১১ সাল থেকে। এই উদ্‌যাপনকে মান্যতা দিয়েছিল অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডের মতো দেশ। তারপর থেকে নিয়মিত এই দিনটি পালন করা হয়ে আসছে। আজকেও যুগেও যখন মহিলাদের ওপর ঘৃণ্য অপরাধ ঘটে থাকে, যখন কিছু দেশে ধর্মের নামে মহিলাদের নিচু চোখে দেখা হয়, যখন প্রত্যন্ত গ্রামে কন্যাভ্রূণ হত্

রাইটার্স ব্লক ও বাঙালি শখের লিখিয়ের বইপ্রকাশ

 কোনও এক লেখক না কবি বুঝি বলেছিলেন যে রোজ নিয়ম করে লেখার জন্য টেবিলে বসতে হয়। তবে লেখা আসে। তবে বড় লেখা লিখে লেখক হওয়া যায়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, রোজ রোজ লিখবটা কী? রোজ নতুন গল্পের প্লট খুঁজে বের করা বা রোজ নতুন টপিকের ওপর প্রবন্ধ লেখার মতো ট্যালেন্টেড আমি নই। আবার অন্যের ধারণা কপি করতে আমি রাজি নই। কিংবা পড়াশোনা না করে হাস্যকর, ভাসা-ভাসা বা ভুল তথ্যসমৃদ্ধ প্রবন্ধও আমি লিখতে পারব না। তাহলে উপায়? উপায় হল যে রোজ না লেখা। তবে রোজ বই পড়া। রোজ বই পড়লে লেখার আইডিয়া জন্মায় বা জন্মাতে পারে। যখন মাথায় ভালো আইডিয়া আসবে, তখনই একমাত্র লিখতে বসা।  অনেকে রাইটার্স ব্লকের কথা বলেন। অর্থাৎ খানিকটা লেখার পরে এক শূন্যতা দেখা দেয়। এমন একটা কিছু যাকে অতিক্রম করে আর ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়া যায় না। আমার ক্ষেত্রে রাইটার্স ব্লক কথাটা ঠিক খাটে না। কারণ আমি রাইটার বা লেখকই নই! লেখালেখি হল একপ্রকার সাধনা। আমি সেই সাধনার পুরোদস্তুর সাধক নই। আমি হলাম নিতান্তই শখের লিখিয়ে। প্লট মাথায় আসা ছাড়াও নিজের মন-মেজাজের ওপর আমার লিখতে বসা নির্ভর করে। তা ছাড়াও নির্ভর করে বছরের কোন সময়ে আমি কতটা ব্যস্ত। যেমন ধরু